Download Free BIGtheme.net
Home / জেলার খবর / হাতীবান্ধা থানা হাজত থেকে পলাতক আসামী দিনাজপুরে গ্রেপ্তার

হাতীবান্ধা থানা হাজত থেকে পলাতক আসামী দিনাজপুরে গ্রেপ্তার

শাহিনুর ইসলাম লালমনিরহাট : মাদক ব্যবসায়ী আর অপরাধীর কাছে আতংকিত এক নাম হাতীবান্ধা থানার এসআই আনিসুর রহমান আনিস। তার কাছ থেকে আজ পর্যন্ত কোন অপরাধীই ছাড় পাননি । আর পাবে বলেও মনে হয় না।

দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টার রুদ্ধদ্বার অভিযানে দিনাজপুরে পুলিশের হাতে ধরা পরলো লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানা হাজত থেকে পলাতক আসামী মিলন মিয়া (২৫)।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত ১০.৩০ টার দিকে দিনাজপুর জেলাধীন কোতয়ালী থানার পুলহাট বিসিক এলাকা থেকে মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে এসআই আনিসুর রহমান আনিসের নেতৃত্বে একদল চৌকোস পুলিশ অফিসার ।

পুলিশ ঐদিন রাতেই মিলনকে নিয়ে জলঢাকা থানার সোনাখুলি নামক এলাকায় যায়। সেখানে একটি মেহগনি গাছের পাস থেকে হাতকড়া উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসে।

মামলার তদন্তককারী কর্মকর্তা এস আই আনিসুর রহমান আনিস জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিনাজপুর জেলাধীন কোতয়ালী থানার পুলহাট বিসিক এলাকা হত এজাহার নামিও পলাতক আসামী মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

যার মামলা নং – ১৬ তাং ২৫/১০/১৬ ধারা দঃবিঃ ৪১৩ এবং মামলা নং ১৭, তাং ২৬/১০/১৬, ধারা দঃবিঃ ২২৪। এছাড়াও অত্র থানায় তার নামে মেডিকেল ভাংচুর মামলা আছে যার নং ৯, তাং ৮/৭/১৫। দিনাজপুরের কোতয়ালী থানাও মিলনের নামে একাধিক চুরির অভিযোগে আছে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়। সোমবার রাতে একটি ছাগল ও মোবাইল ফোন চুরি করার সময় স্থানীয জনতা মিলন মিয়াকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্থ করে ।

মঙ্গলবার সকালে প্রসাব করার আজুহাতে মিলন মিয়া, বয়স্ক কনস্টেবল মতিয়ার রহমানকে ধাক্কা মেরে থানার ওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়।

থানা হাজত থেকে হাতকড়াসহ আসামী পালানো ঘটনায় জেলায় সমালোচনার ঝড় উঠে । বেকায়দায় পড়ে থানা পুলিশ। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় খবরের শিরনাম হয়। টনকনড়ে লালমনিরহাট জেলার পুলিশ প্রশাসনের।

দায়িত্ব অবহেলার কারনে হাতীবান্ধা থানা এএসআই সাইদুল ইসলাম ও কনস্টেবল মতিয়ার রহমানকে জেলা পুলিশ ফাঁড়িতে ক্লোজ করার হয়।

মিলনের নামে মামলাটি হাতীবান্ধা থানার চৌকোস পুলিশ অফিসার এসআই আনিসুর রহমান আনিসের হাতে নেস্থ করা হয়।এস আই আনিস তার মেধা আর অভিজ্ঞতা বলে তৈরি করেন সোর্সের বিশাল নেটওয়ার্ক।

নাওয়া খাওয়া ও রাতের ঘুম বন্ধ করেন তিনি। লালমনিরহাট ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে আসামী ধরার জন্য শুরু করেন রুদ্ধদ্বার অভিযান।

অপরদিকে থানা হাজত থেকে পালানোর ঘটনায়, মিলনের বোন জামাই সিরাজুল ইসলাম ও বড় ভাই মাহাবুব মিয়া গ্রেপ্তার আতংকে আতংকিত হয়ে পড়ে। তারাও গোপনে মিলনকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্থ করার জন্য আপ্রাণ চেস্টা করে।

অবশেষে এসআই আনিসুর রহমান আনিস গোপন সংবাদের উপর ভিত্তি করে দিলাজপুর জেলাধীন কোতয়ালী থানার পুলহাট বিসিক এলাকা থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে আসেন। মিলানের বোন জামাই ও বড় ভাইয়ও মিলনকে পুলিশের হাতে ধরে দেওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগীতা করেন।

আসামী মিলন মিয়া দিনাজপুরের ফুলহাট গ্রামের মৃত ইনসান আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। সে উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হলদীবাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে তার ভাইসহ বসবাস করে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, অত্র থানার এসআই আনিসুর রহমান আনিসের নেতৃত্বে দিনাজপুরে কোতয়ালী থানার পুলহাট বিসিক এলাকা থেকে মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।

Comments

comments