অনলাইন ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গিরা ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য ইতোমধ্যে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছে। রংপুরে আজ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মুজাহেদীনের (জেএমবি) ৩ জন সক্রিয় সদস্যর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তাদের ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তারা আজ বুধবার র্যাব-১৩ এর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন, হাফেজ মো. মাসুদ রানা ওরফে হাফেজ মাসুদ (১৮), মো. হাফিজুর রহমান (১৬) ও মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে আক্তারুল (১৮)। হাফেজ মাসুদ রামেশ্বর দারুল হুদা ফাজিল মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। মো. হাফিজুর রহমান কলাবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণীর এবং মো. আক্তারুজ্জামান নারায়নপুর মিজবাহুল উলুম কওমী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলায় অংশগ্রহণকারী জঙ্গি শফিউল এর সঙ্গে এই ৩জনের যোগসূত্র রয়েছে। শফিউল যে জঙ্গি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জঙ্গি হিসেবে রিক্রুট হয়েছে তারাও একই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ সংগঠনে প্রবেশ করেছিল। শফিউল নূরপুর সালাফিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। আত্মসমর্পণকারী এই তিনজন একই মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করে।
তারা যখন নূরপুর সালাফিয়া মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করতো তখন এদের কোমলমতি প্রাণে জঙ্গিবাদের বীজ বোপন করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের পিয়ন আরিফুল। আরিফুলের পরিকল্পনায় হাফেজ মাসুদ স্থানীয় শিবির নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশও করেছিল। পরে তারা তিনজন নিকটবর্তী তিন মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করলেও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে এই আরিফুল তাদেরকে ঘোড়াঘাটের গুড়হাটিতে একটি মেসে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আজ আত্মসমর্পণকারী প্রত্যেককে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে অনুদান হিসাবে ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেছেন।
Comments
comments