Download Free BIGtheme.net
Home / স্বাস্থ্য / অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে জেনে নিন জরুরি কিছু কথা

অ্যান্টিবায়োটিক সম্পর্কে জেনে নিন জরুরি কিছু কথা

স্বাস্থ্য ডেস্ক: ব্যাকটেরিয়ার কারণে শরীরে কোনো রোগ দেখা দিলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। গত কয়েক দশকে এই ধরনের রোগের প্রকোপ এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে স্বাভাবিক কারণই এই ধরনের ওষুধের চাহিদা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। প্রসঙ্গত, অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে উপস্থিত মাইক্রোঅর্গানিজমদের মেরে ফেলে রোগের প্রকোপ কমায়। তাই তো যে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়ে থাকে।

অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বাজারে পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল পেনিসিলিন, সেফালেক্সিন, সাইপ্রোফ্লোক্সিন, টেট্রাসাইক্লিন, অ্যামোক্সোলিন প্রভৃতি।

স্কাই বোল্ডের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মনে রাখাটা খুব জরুরি।

এই বিষয়গুলো হচ্ছে-

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না

সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কিন্তু সব রোগে কাজে লাগে না। কোনটা কোন রোগে ভালো কাজ করবে তা একমাত্র চিকিৎসকই বলে দিতে পারেন। তাই তো অসুস্থ হলেই নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাবেন না। এতে আপনার রোগ আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া রোগ সারায় অ্যান্টিবায়োটিক

অনেকেই মনে করেন ভাইরাল ইনফেকশনেও অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ দেয়। একথা কিন্তু ঠিক নয়। এই ধরনের ওষুধ একমাত্র ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া রোগ সারাতেই কাজে লাগে, বাকি কিছুতে নয়। তাই এবার থেকে জ্বর, ইনফ্লয়েঞ্জা, সর্দি-কাশি, ব্রঙ্কাইটিস প্রভৃতি ভাইরাস জনিত রোগ হলে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে সময় নষ্ট করবেন না।

অ্যান্টিবায়োটিকের কুপ্রভাব

কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে যা খেলে ডায়ারিয়া, ত্বকের রোগ, বমি, তলপেটে ব্যথা, ঠোঁট ফুলে যাওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া এবং চুলকানির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেই কারণই বারংবার অনুরোধ করা হচ্ছে যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনও অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।

একসঙ্গে অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া

অনেক রোগের ক্ষেত্রে এক সঙ্গে অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। বিশেষত যখন নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া একসঙ্গে আক্রমণ করে থাকে। এমন হলে কোন ব্যাকটেরিয়া, কোনো ওষুধে মরবে তা বিশ্লষণ করে নিয়ে চিকিৎসক একই সঙ্গে অনেকগুলি অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করে থাকেন। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াগুলি রেজিসটেন্স ক্রিয়েট করে ফেলে। অর্থাৎ সেই সময় কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের পক্ষে ওইসব ব্যাকটেরিয়াকে মারা সম্ভব হয় না। তখন পরিস্থিতি বুঝে একাধিক ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত দিনে ২-৩ বার অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। তাই বলে সব ক্ষেত্রেই যে একই নিয়ম কার্যকর, তা কিন্তু নয়! একেকটা রোগে এক এক রকমভাবে ওষুধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন চিকিৎসকরা। সর্বোপরি, অ্যান্টিবায়োটিক খেতে খেতে কিন্তু মাঝ পথে ছেড়ে দেবেন না। এমনটা করলে রোগ তো সারবেই না, সেই সঙ্গে শরীরে আরও নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।

কখন খেতে হয় অ্যান্টিবায়োটিক : সাধারণত এই ওষুধ, ভারি খাবার খাওয়ার পরে খেতে হয়। প্রসঙ্গত, খুব ঝাল দেওয়া খাবার এবং অ্যালকোহল পান করার পর অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়াই ভালো।

অনেক পরিমাণ পানি খেতে হবে

অ্যান্টিবায়োটিকের চিকিৎসা চলাকালীন প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। এমনটা করলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ফলে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। এখানেই শেষ নয়, এই সময় প্রয়োজন পড়লে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট এবং দই খেতে পারেন। দইয়ে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া, যা শরীরকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে।

Comments

comments