অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ আর নেই। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাই… রাজিউন)। লাকী আখন্দের মেয়ে মামিন্তি ও তার স্ত্রী মরিয়ম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা ও সংগীতশিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
জানা গেছে, বিকেলে আরমানিটোলার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিনের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিএসএমএমইউ ভিসি জানান, লাকি আকন্দ বিএসএমএমইউতে চার দফা ভর্তি ছিলেন। সর্বশেষ গত ১০দিন আগে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজি দেয়া হয়। তাঁর শরীরে মোট নয়টি কেমো দেওয়া হয়েছিল। কেমো দেওয়া শেষ হলে চিকিৎসকরা তাঁকে বাসায় কিংবা পাহাড়ে গিয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
লাকী আখন্দ ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকী আখন্দের প্রথম সলো অ্যালবাম প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল ‘হ্যাপি টাচ’-এর সদস্য। তার সংগীত আয়োজনে করা বিখ্যাত গানের মধ্যে রয়েছে এই নীল মনিহার, আবার এলো যে সন্ধ্যা এবং আমায় ডেকো না।
তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশি জাতীয় রেডিও নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ বেতার এর পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লাকী আখন্দ পাকিস্তানি আর্ট কাউন্সিল হতে বাংলা আধুনিক গান বিষয় পদক লাভ করেন ।
Comments
comments