অনলাইন ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেট হবে ৪ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া রেমিটেন্স আহরণে বাজেটে পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে প্রবাসীদের রেমিটেন্সের ওপর কোন চার্জ না নিতে। এ বিষয়টি বাজেটে প্রতিফলিত হবে। এছাড়া রাজস্ব আদায় বাড়াতে যাদের ভাল গাড়ি ও বাড়ি আছে তাদের উপর বাড়তি ট্যাক্স আরোপ করা হবে।
শনিবার (১৩ মে) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জমি কেনাবেচায় প্রকৃত বাজারমূল্য প্রতিফলিত না হওয়ায় রেজিস্ট্রেশনের সময় জমির মূল্যের বড় একটি অংশ গোপন করে সংশ্লিষ্টরা কালো টাকার মালিক হচ্ছেন। জমি কেনাবেচায় অপ্রদর্শিত অর্থই কালো টাকার অন্যতম উৎস। পরবর্তিতে এ কালো টাকায় তারা বিদেশে পাচার করে। পাচার বন্ধে জমির সর্বনিম্ন নির্ধারিত মূল্য পদ্ধতি তুলে দেওয়া হবে আগামী বাজেটে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো। ২০১৫ ও ২০১৬ দুটি বছর পেয়েছি শান্তিপূর্ণ। দুটি বছরে আমাদের শ্রমিকরা প্রমাণ করেছেন তারা দেশে হরতাল ও অন্যান্য ধরনের শান্তির ব্যাঘাত সহ্য করবে না। এর ফলে একটা কনফিডেন্ট এসেছে, এর রেসপন্স আমরা দেখতে পাব।
দেশের পুঁজিবাজার এখন আর ফাটকাবাজার নয় উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসা পরিচালনাকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার সময় এসেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা পাচার হচ্ছে জানি। টাকা পাচারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আমরা একটা ল্যান্ড প্রাইস ফিক্সড করে দিই কিন্তু একচুয়াল প্রাইস অনেক বেশি হয়। এই টাকা কী করবে, এটা এ দেশে ব্যবহার করতে পারে না কারণ কালোটাকা। আমরা এখন চিন্তা করছি, কোনো ল্যান্ড প্রাইস রাখব না। দেয়ার শুড বি নো ল্যান্ড প্রাইস। দাম বাজারই নির্ধারণ করবে। এটা টাকা পাচার প্রতিরোধে কাজ করবে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ যেটা হয়তো স্থবির হয়তো বিদেশে যাচ্ছে, সেটার কিছুটা আমাদের দেশে হবে। এখন বিনিয়োগের সুযোগ প্রচণ্ড, ডমেস্টিক মার্কেট ইজ এক্সপান্ডিং। সুতরাং এখানে বসেই যথেষ্ট পয়সা বানানোর সুযোগ পাবেন। এটা যখন দেখবেন বিনিয়োগকারীরা, তারা আসবেন।
ভ্যাট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক পারসেন্ট ভ্যাট কমলে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হবে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। নতুন ভ্যাট আইনে ভ্যাটের হার কী হবে সেটা আগামীকাল (রোববার) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নির্ধারিত করা হবে।
ইকোনোমিকস রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি বিলাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক প্রতিনিধিসহ রিপোর্টাররা এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান প্রমুখ।
Comments
comments