Download Free BIGtheme.net
Home / আইন ও আদালত / সাঈদীর মামলায় পরবর্তী রিভিউ শুনানি সোমবার

সাঈদীর মামলায় পরবর্তী রিভিউ শুনানি সোমবার

অনলাইন ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন ও খালাস চেয়ে করা সাঈদীর রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। আসামিপক্ষের প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামীকাল ১৫ মে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) দুপুর ১২টা ২মিনিটে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। অন্য চার বিচারপতি হলেন- জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহাব মিঞ্চা, বিচাপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার।

আদালতে সাঈদীর পক্ষে শুনানি করছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সাঈদীর রিভিউ শুনানির জন্য ১৪ মে দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় পুর্নবিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। একই বছরের ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ করেন সাঈদী।

এর আগে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের করা দুটি আপিল আংশিক মঞ্জুর করে বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের মতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাচঁ বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চে ওই রায় ঘোষণা করেন।

বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা ছিলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমান প্রধান বিচারপতি), বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে ৩১ ডিসেম্বর ৬১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়।

আপিলের রায়ে বলা হয়, ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৬, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৮ নম্বর অভিযোগের অংশবিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে সাঈদীকে খালাস এবং এ অভিযোগের অংশবিশেষে তাকে ১২ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়াও সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে ৭ নম্বর অভিযোগে তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা, ধর্ষণ, লুট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠিত ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিচার শুরু হয়।

Comments

comments