অনলাইন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা নির্বাচনের নামে মানুষ হত্যা করছে, টাকা ও সমর্থন দিয়ে যারা জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, তারাই সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদের মূল হোতা। জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের মদদদাতা ও উস্কানিদাতাদেরও বিচার করা হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকাল ৩টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার টাইসন কর্নার এর রিটজ কার্লটন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ ৭০ বছরে পা রাখেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বাড়ানোর পর যে হোটেলে তিনি অবস্থান করছেন, সেখানেই হয় ছোট্ট আনুষ্ঠানিকতা। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুর জন্য ছিল না কোনো জাঁকজমকতা বা কেক কাটার ব্যবস্থা। তারপরও আশপাশের অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে যোগ দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জঙ্গিদের মদদ দেয়া, খুন করা, মানুষ পোড়ানো, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা-এসব অপরাধে যারা অপরাধী, তাদেরও বিচার ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে আমরা করব।’
অনুষ্ঠানে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এগুলো রাজনৈতিক মামলা নয়। এগুলো মানুষ পোড়ানোর মামলা।
দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে কাজ করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসে থাকেন, আপনারাও কিন্তু এই জঙ্গিবাদবিরোধী আমরা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের, তাদের যারা ধর্মীয় শিক্ষাগুরু, আমাদের অভিভাবক, সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী আমরা সবাইকে নিয়ে এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসহ প্রত্যেকে, সবাই মিলে কিন্তু এক হয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী ভূমিকা নেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।
সদ্য প্রয়াত কবি সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুতে তিনি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। নিউ ইয়র্কে যাওয়ার আগে তিনি কবিকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করতে পছন্দ করি না। আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। এর মাধ্যমে নিপীড়িত এবং শোষিত জনগণের মুখে হাসি ফোটানো।’
Comments
comments