অনলাইন ডেস্কঃ হঠাৎ নিজেই বিআরটিসি বাসে চেপে বসলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা জানতে বৃহস্পতিবার সকালে বাসে চড়ে রাজধানীর আসাদ গেট থেকে মন্ত্রনালয়ে আসেন মন্ত্রী। এজন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটেন তিনি। ফের দুপুরে ফার্মগেট থেকে অপর এক বাসে চেপে আব্দুল্লাপুর পর্যন্ত যান মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের সমস্যা শোনেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, মন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে আসাদগেট সড়কের বাসস্ট্যান্ডে টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ান। ৯টা ৫০ মিনিটে তিনি কোনো প্রটোকল ছাড়াই বিআরটিসি’র নন এসি দোতলা বাসে (ঢাকা-১১-৬১২১) ওঠেন। ১০ টা ৪০ মিনিটে প্রেসক্লাবের সামনে নেমে মন্ত্রনালয়ে যান। এ সময় তিনি যাত্রীদের কাছে থেকে তাদের অভিযোগ শোনেন।
আবু নাছের জানান, টিকিট কাটতে গিয়েই মন্ত্রী একটা অনিয়ম পেয়েছেন। কাউন্টারে ১০ টাকা দামের কোন টিকিট ছিল না। যারা ১০ টাকার দূরত্ব যাবে, তাদের কাছ থেকে টাকা নেয় কিন্তু টিকিট দেয় না। এছাড়া বাসের ১২টি ফ্যানের মধ্যে ১১টিই ছিল নষ্ট।
নারী যাত্রীরা জানান, তারা কখনো সিট পান না। নারীদের জন্য সংরক্ষিত সিটগুলোয় পুরুষরা বসে থাকে। বললেও ওঠে না। এক্ষেত্রে কণ্ডাক্টরও কোন সহায়তা করে না। ছাত্ররা অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে কখনো অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হয় না। আইডি কার্ড দেখালেও কাজ হয় না।
তবে বাসের কণ্ডাক্টর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্ররা আইডি কার্ড দেখাতে চায় না। আইডি দেখালে অর্ধেক ভাড়া নেওয়া হয়। ৫০ মিনিটের বাস ভ্রমনে যাত্রীদের নানা অভিযোগের প্রমাণ মন্ত্রী হাতেনাতে পান। এসব অভিযোগে সঙ্গে সঙ্গে বিআরটিসি’র কমলাপুর শাখার ডিপো ম্যানেজার ও পরিচালককে (টেকনিক্যাল) শো’কজ করেন মন্ত্রী। যাত্রীরা মন্ত্রীর কাছে যানজটের সমস্যা দূর করারও দাবি জানান।
তারা জানান, খামারবাড়িসহ কয়েকটি মোড়ে যানজটে বেশি অপেক্ষা করতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকতে হয়। একইসঙ্গে বিআরটিসি বাসের চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টররা খারাপ আচরণ করেন বলেও অভিযোগ করেন তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্যা দূর করতে করণীয় ঠিক করবেন বলে যাত্রীদের আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
এদিকে সকালে বিআরটিসি’র নন এসি বাসে চড়ার পর দুপুরে এসি বাসে চড়েন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন দুপুর ১২ টা ৩৫ মিনিটে বিআরটিসি’র এসি বাসে ফার্মগেট থেকে আব্দুল্লাপুরের উদ্দেশ্যে ওঠেন মন্ত্রী। ১ টা ১৫ মিনিটে আব্দুল্লাপুর পৌঁছান। তবে এসি বাসের যাত্রীরা সন্তোস প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রনালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের। তিনি বলেন, এসি বাসে নারীদের আসন খালি ছিল। অন্য সিটও খালি ছিল। এখানে যাত্রীরা সন্তোস প্রকাশ করেছেন।
Comments
comments