অনলাইন ডেস্কঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সুগারমিল এলাকায় রোপিত ধান সাঁওতালদের কাটার সুযোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়া তারা পাট ও কলাইসহ অন্যান্য যেসব ফসল লাগিয়েছিল তা সরকার কেটে ফেললে তাও সাঁওতালদের ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
একই সঙ্গে সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে গাইবন্ধার ডিসি, এসপি ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এসব অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি সাঁওতালদের পুনর্বাসনে ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
আজ রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না শুনানি করেন। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ও অ্যাডভোকেট কুমার দেবলু দেব।
গত ৬ নভেম্বর চিনিকলের অধিগ্রহণ করা ওই জমি থেকে সাঁওতালদের কয়েকশ’ ঘর উচ্ছেদের সময় বাড়িঘরের পাশাপাশি মাঠের মাস কালাই, সরিষা ও পাট লুট করা হয়। ধান তখন লুট না হলেও উচ্ছেদের পর চিনিকল কর্তৃপক্ষ পুরো জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রেখেছে। পাক ধরা ধান দ্রুত কাটতে না পারলে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সাঁওতালরা।
ধান বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশের পাশাপাশি সাওতালদের সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় ‘প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না’- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, গাইবান্ধার ডিসি ও এসপি, স্থানীয় সাংসদ ও গোবিন্দগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যানকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ হওয়া সাঁওতালদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments
comments