তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে এই স্যাটেলাইটের মুল কাজ শেষ হয়েছে। এখন বলা যায় এর জন্ম হয়েছে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি প্রতিষ্ঠান স্যাটেলাইটটি নির্মাণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স ও ফ্যালকন ৯ উৎক্ষেপণযান ব্যবহার করে ফ্লোরিডার লঞ্চ প্যাড থেকে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
তারানা হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে এটি উৎক্ষেপণ হবে।
এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে; যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। ট্রান্সপন্ডার হলো একটি মাইক্রোওয়েভ অ্যানটেনা, যার মাধ্যমে ভয়েস, ডেটা ও ভিডিও সিগন্যাল গ্রহণ ও প্রেরণ করা হয়। ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বেতার তরঙ্গকে সংকেত বা সিগন্যাল হিসেবে পাঠানো হয়।
উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Comments
comments