লাইফস্টাইল ডেস্ক: দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তখন চোখগুলো এমন ভারী হয়ে আসে যে সাধারণ কাজটাও করা যায়না। যদি প্রতিদিনই এই সমস্যা হয় তাহলে কী হবে? আপনার উৎপাদনশীলতা কমে যাবে এবং আপনার পারফরমেন্সের উপর প্রভাব পড়বে। এছাড়াও এটি কিছু অন্তর্নিহিত রোগকেও নির্দেশ করে। কিন্তু অনেক রোগীদের ক্ষেত্রেই রক্ত পরীক্ষায় তেমন কিছু ধরা পড়েনা বলে ডাক্তার বলেন যে, দুর্বলতার কারণে এমন হচ্ছে।
তাহলে তখন কি করা উচিৎ গ্লুকোজ বা এনার্জি পিল বা এনার্জি ড্রিংক পান করা উচিৎ? গ্লুকোজ আসলে সব সময় ভালো সমাধান নয়। দুর্বলতা কাটিয়ে এনার্জি লাভ করার অনেক উপায় আছে যা খুব কঠিন কিছু নয়। চলুন তাহলে জেনে নিই দুর্বলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সহজ কিছু উপায়।
আপনি কি খাচ্ছেন তা খেয়াল করুন
সপ্তাহে এক বারের বেশি পিজা বা বার্গার অর্ডার দেয়ার পূর্বে দ্বিতীয়বার ভাবুন। এর চেয়ে মায়ের হাতের চাপাতি/রুটি এর সাথে সবজি ও সালাদ দিয়ে খেয়ে নিন, যা পনির ও মেয়নেজ এ পরিপূর্ণ পিজা ও বার্গারের চেয়ে অনেক বেশি এনার্জি দিতে পারবে। সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ফিট থাকুন।
শরীর নাড়াচাড়া করুন
যেকোন ধরণের শারীরিক কাজের সাথে যুক্ত হোন। ফিট থাকার জন্য জিমে যেতে হবে এমন কোন কথা নেই। জিমে যাওয়া ছাড়াও আরো অনেক ব্যায়াম আছে যেমন- সাঁতার, হাঁটা, ব্যাডমিন্টন খেলা, নাচা, ইয়োগা ইত্যাদি যা আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে। আপনার পছন্দের কাজটি বেছে নিন এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট সেই কাজে মনোযোগ দিন।
মস্তিষ্ককে শিথিল হতে দিন
যদি আপনার কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকে তাহলে আপনার দুর্বলতার কারণ আপনার মন। আপনার মন ও মস্তিষ্কের শিথিল হওয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আপনার কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলায় অংশ নিন, সহকর্মীদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন, পরিবারের সাথে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন এবং সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। এই ছোট ছোট কাজগুলোই আপনাকে সতেজ থাকতে এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
শখের কাজ করুন
আপনি সত্যিই পছন্দ করেন এমন কোন কাজ করুন। এটা হতে পারে গিটার বাজানো, পিয়ানো শেখা, বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শুনা ইত্যাদি। আপনি করতে ভালবাসেন এমন কোন কাজ করলেই আপনি এনার্জি পাবেন।
ফল খান
বেশীরভাগ এনার্জি ড্রিঙ্কই চিনিতে পরিপূর্ণ থাকে যা শরীরের জন্য ভালো নয়। নিয়মিত সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে কিডনি ও লিভারের উপর অধিক চাপ পড়ে। তাই ফল খাওয়াই হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ, এর পাশাপাশি প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, পানি, সবুজ শাকসবজি ও সালাদ খাওয়া উচিৎ।
Comments
comments