Download Free BIGtheme.net
Home / ব্রেকিং নিউজ / ২০১৯ সালে বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তোফায়েল

২০১৯ সালে বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে : তোফায়েল

অনলাইন ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের যে কোন দিন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত সদস্যদের দায়িত্বভার গ্রহণ ও অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও সাবেক সচিব এম মোকাম্মেল হক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে রুপান্তরিত হবে। আর ২০২১ সালের মধ্যে হবে মধ্যম আয়ের দেশ। সেই লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের ২৪ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। রফতানি আয়, বৈদেশিক রিজার্ভ, রিমিটেন্সসহ অর্থনীতির সব সূচকে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ভোলার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এই জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এখানকার ৪টি নির্বাচনী এলাকায় নদী ভাঙ্গন রক্ষায় প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন রোধ হয়েছে। এছাড়া জেলার সব কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য ৪৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভোলায় প্রচুর গ্যাস রয়েছে। যা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ হচ্ছে। শিল্প-কারখানা হবে গ্যাসভিত্তিক। এছাড়া ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানের সমীক্ষা চলছে। এই ব্রীজটি হলে পদ্মা সেতু দিয়ে ভোলা-বরিশাল ব্রীজ হয়ে মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘন্টায় সড়ক পথে ঢাকা আসা-যাওয়া করা যাবে। এসময় মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভোলা খালের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বন ও পরিবেশ উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় আসে তখন অবহেলিত দক্ষিনাঞ্চলের উন্নতি হয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় পদক্ষেপের জন্য এই অঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবি পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের পথে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়ত সরকারের আমলে হাজার নেতা-কর্মীদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে। বাড়ি-ঘর লুট, পুকুরের মাছ, গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে ৫ দিন নির্যাতন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে প্রতিশোধ নেইনি। কারন আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করেনা।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো: সেলিমউদ্দিন, পুলিশ সুপার মোখতার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন,ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুছ, পৌর মেয়র মনিরুজ্জামানসহ জেলার ৭ উপজেলার চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

comments