স্বাস্থ্য ডেস্ক: মাত্রাতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড এবং অসংলগ্ন জীবনযাত্রার কারণে অনেক সময় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এছাড়া দৈনন্দিন ডায়েটের কারণেও এমনটা হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হৃদরোগসহ নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। তাই কোলেস্টরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু বিষয় জানা জরুরি যেমন : পরিবারের বা বাবা-মায়ের হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে আপনারও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কী না, এছাড়া উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপানের অভ্যাস, অতিরিক্ত মেদভুঁড়ি ইত্যাদি। যাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাদের কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে থাকা উচিত। যাদের হৃদরোগের কোনো ঝুঁকি উপাদান নেই, তাদের ১৬০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে রাখা যেতে পারে।
শরীরে দু ধরনের কোলেস্টরল দেখা যায় একটা হল ভালো কোলেস্টেরল, যা শরীরকে ভালো রাখতে প্রয়োজন পড়ে। আর দ্বিতীয় হল বাজে কোলেস্টরল বা এলডিএল। এটিই কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে ক্ষতিকর কলেস্টেরল বেড়ে গেলে অকারণ দেরি কিন্তু অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে বোল্ডস্কাইয়ের প্রতিবেদনে এই ধরনের রোগ সারাতে ঘরোয়া চিকিৎসা দারুন কাজে আসে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
এ চিকিৎসায় অল্প দিনেই কমতে শুরু করে কোলেস্টরলের মাত্রা। এটার ভালো দিক হল এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাহলে অপেক্ষা কিসের! আসুন এ ব্যপারে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিই :
আমলা : এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামুচ আমলা পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় কোলেস্টরল কমাতে দারুন কাজ করে।
ধুনিয়া : কোলেস্টরল কমাতে এক গ্লাস পানিতে এক চামুচ ধুনিয়া গুঁড়া মিশিয়ে গরম করুন। এই পানীয়টি দিনে দু’বার পানে শরীরের কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
কমলা লেবুর রস : এতে রেয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড, যা শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। দিনে কম করে ২-৩ বার কমলা লেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এক গ্লাস পানিতে এক চামুচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। দিনে দু’বার এই পানি পানে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
বাদাম : কোলেস্টরল কমাতে আখরোট এবং কাজু বাদাম খান। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর ফাইবার কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। তবে বেশি বাদাম খাবেন না যেন! তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অল্প অল্প করে বাদাম খেলে উপকার পাবেন।
মধু ও পেঁয়াজের রস : এক চামুচ পেঁয়াজ রসের সঙ্গে এক চামুচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে খান। এটা টানা কয়েক মাস খেলেই কোলেরল কমে যাবে।
ওটস : কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে ফাইবার দারুন কাজে আসে। আর ওটস হল ফাইবারে পরিপূর্ণ। তাই এই খাবারটি প্রতিদিন এক বাটি করে খেলে উপকার পাবেন।
Comments
comments