অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার রাত ৮টার পর রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে বাধা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা পুলিশ বক্স ও রেকারে আগুন দিয়েছে।
পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় এনটিভির রিপোর্টার ও ক্যামেরা ম্যান আহত। খুলনা রেলগেট এবং মানিকতলা একটি বাস ও ১০টি ইজিবাইক ভাঙচুর করে শ্রমিকরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরে কর্মরত পলাশ মোদক রাত পৌনে ৯টার দিকে এ প্রতিবেদককে বলেন, রাত ৮টা ৪ মিনিটে পুলিশের একটি রেকারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মিরপুর স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু প্রচণ্ড গোলযোগের কারণে ঘটনাস্থলে তখনও ভিড়তে পারছিলেন না তারা। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা অবস্থান করছেন ঘটনাস্থলের অদূরে। কারা আগুন দিয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, চলমান অবরোধের মাঝে মঙ্গলবার বিকাল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। নির্বিচারে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পর পুলিশ তাদের বাধা দিলে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের একটি র্যাকারে আগুন দেয় শ্রমিকরা। একপর্যায়ে পুলিশকে ধাওয়া করে পুলিশ বক্সে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে তারা। অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রমিকরা পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আগুন নেভাতে গেলেও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অগ্নিনির্বাপণের গাড়ি ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। রাত ৮টার দিকে পুরো গাবতলী এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তবে কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা জানাতে পারেননি তারা।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গাবতলী টার্মিনালের পশ্চিম দিক থেকে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল খবর পাওয়া গেছে।
মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের এসি সৈয়দ মামুন মোস্তফা জানান, পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। পরে একটি র্যাকার ভ্যানে আগুন দেয় তারা। পরিস্থিতি নিতে পুলিশ সর্তক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments
comments