Download Free BIGtheme.net
Home / আইন ও আদালত / ২৮ কোম্পানির ওষুধে নিষেধাজ্ঞা বহাল

২৮ কোম্পানির ওষুধে নিষেধাজ্ঞা বহাল

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের ২৮টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে হাই কোর্টের দেওয়া রুলের ওপর শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এসব কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন), স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন তিন দিনের মধ‌্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল।

পাশাপাশি ওই ২৮ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিক্যানসার ও হরমোন-জাতীয় ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং এসব কোম্পানিকে ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আট বিবাদীকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল সেদিন। ওই রুলের নিষ্পত্তি করেই সোমবার ২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ বহাল রাখা হল।

জাতীয় সংসদের স্পিকারের অনুমতি নিয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ওই কোম্পানিগুলোর ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করার পরও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ ওই রিট আবেদনটি করে। তাদের আবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস অনুসরণ না করে ওই ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে এবং তাতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।

ওষুধের মান ঠিক রাখতে উৎপাদন পদ্ধতি, লোকবল, কারখানার অবস্থান, পদ্ধতি, মোড়কজাতকরণসহ অনেক বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস বা জিএমপি নীতিমালায়। ১৯৮২ সালের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি অনুসরণ না করলে লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা যাবে। নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত, মজুদ, অথবা বিক্রির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানাসহ শাস্তি অথবা উভয় দণ্ডের শাস্তিরও বিধান রয়েছে আইনে।

Comments

comments