অনলাইন ডেস্ক: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ড্রুক এয়ার কেবি-৩০৩ ভিভিআইপি ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং অটিজম ও নিওরোডেভলোপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডভাইজারি কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ও থিম্পুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদানের পাশাপাশি ভুটানের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে সফরকালীন আবাসস্থল লা মেরিডিয়ান থিম্পুতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ভুটানের রয়েল প্রিভি কাউন্সিলের সভাপতি লিওনপো দর্জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন।
সফরের প্রথমদিন বেলা পৌনে তিনটার দিকে রাজ প্রাসাদে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ভুটানের রাজা ও রাণীর সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজ প্রাসাদের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন তিনি। বিকেল ৫টায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা ৭টায় রয়েল বাংকোয়েট হলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। সাড়ে ৭টার দিকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রয়েল বাংকোয়েট হলে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় ভুটানের রাজার উপস্থিতিতে থিম্পুর হিজোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। দুপুরে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের সম্মানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
বেলা ২টায় ‘দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে অটিজম ও অন্য নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারগুলো সফলভাবে মোকাবেলায় সক্ষম করা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যা ৭টায় লিংকানা প্যালেসে ভুটানের রাজা ও রানীর নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় ড্রুক এয়ারের কেবি-৩০২ ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে ভুটান ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাড়ে ৯টার দিকে তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
এই সফরে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর রয়্যাল ব্যাঙ্কোয়েট হলে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া হেজো-তে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিস্থাপনও করবেন তিনি। সেখানে জমিটি ভুটান সরকার বাংলাদেশকে দিয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। চুক্তিগুলো হলো দ্বৈত কর পরিহার, অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, যোগাযোগ ও বাণিজ্য, পণ্য ও কৃষিজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ।
Comments
comments