Download Free BIGtheme.net
Home / জাতীয় / গণপরিবহনে নৈরাজ্য, বেশি ভোগান্তি নারীদের

গণপরিবহনে নৈরাজ্য, বেশি ভোগান্তি নারীদের

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর বিভিন্ন রুটে সিটিং সার্ভিস, গেইট লক, বিরতিহীন কিংবা স্পেশাল সার্ভিস বন্ধের নির্দেশনা রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে গাড়িতে যাত্রী উঠাচ্ছেন বাসের ড্রাইভার-হেলপাররা। আর যাত্রী টইটুম্বর না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হচ্ছে না।

আবার বেশি যাত্রী যেন দাঁড়াতে পারে সেজন্য বেশ কিছু সিট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আগের সেই সিটিং সার্ভিসের মতোই। এসব নৈরাজ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নারী যাত্রীরা। ধাক্কাধাক্কির মাঝে কেউ কেউ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাচ্ছেন, কেউ বা আবার গাড়িতে উঠতে গিয়ে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হচ্ছেন।

এদিকে সিটিং থেকে লোকালে রূপান্তরিত হওয়ায় তাদের সঙ্গে আগে থেকেই লোকাল চালানো বাস কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে বর্তমানে গণপরিবহনে আরও বেশি নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারী যাত্রীদের। বাসে সিট তো দূর দাঁড়ানোর মতো জায়গাও পাচ্ছেন না তারা। অথচ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে আগের সেই সিটিং সার্ভিসের মতোই। আবার দুই/একটা গাড়ি নামে মাত্র ভাড়া কমালেও ভেতরের সব জায়গা পূর্ণ হওয়ার পর গেটেও কয়েকজনকে বাদুরের মতো ঝুলিয়ে নিচ্ছে।

এছাড়া সিটিং সার্ভিস আর লোকাস সার্ভিস নাটকে রাস্তায় গাড়িও কম নামানো হচ্ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের ভোগান্তির মাত্রা সীমাহীন।

পুরুষ যাত্রীরা ভিড় ঠেলে গাড়িতে উঠতে পারলেও সিট না থাকায় নারী যাত্রীদের নিচ্ছেন না বাস চালকরা। আবার নিলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের।

রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, আগারগাঁও, মিরপুর, টেকনিক্যাল মোড়, মহাখালী, কাকরাইল মোড়, পল্টন মোড়, বাড্ডা এলাকায় দেখা গেছে নারী যাত্রীদের ভোগান্তির এই চিত্র। এছাড়া অন্য যাত্রীদেরও হয়রানি করা হচ্ছে নানাভাবে।

এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বিভিন্ন প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

গত রবিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড়ে সড়ক পরিবহন সংস্থা বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ করার কারণে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। বাসগুলোর ওভার লোডিংয়ের (অতিরিক্ত যাত্রী) বিশৃঙ্খলা দূর করে জনগণকে পরিবহনের সুফল ভোগের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। ’

অন্যদিকে, সোমবার দুপুরে রাজধানীতে অভিযান চলাকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, কোনো পরিবহন মালিক গাড়ি বন্ধ রাখলে তার রুট পারমিট বাতিল করা হবে। যারা রাস্তায় বাস নামায়নি তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে প্রথমে নোটিশ দেওয়া হবে। এরপরও না মানলে রুট পারমিট বাতিল করা হবে।

বিডি প্রতিদিন

Comments

comments