বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুর সীমানায় জবাইকৃত মরা গরুর মাংস কৌশলে রাজশাহীর বাঘায় এনে বিক্রীর সময় হাতে নাতে দুই কশাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত কশাই এর নাম রতন ও সরোয়ার। সোমবার সকারে বাঘা মাজার গেট থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, লালপুর সীমানার দ্ড়ুদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান কশাই আগের দিন একটি গরু কিনে নিয়ে আসে তার বাড়িতে। গরুটি আকষ্মিক ভাবে রাতে মারাযায়। এরপর তিনি নিজে ওই গরু জবাই করে বাঘার দুই কশাই রতন (২৫) ও সরোয়ার (৩০) এর মাধ্যমে সোমবার সকাল ৭ টায় উপজেলার মাজার গেটের সামনে বিক্রী শুরু করে। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশ ওই মাংশ জব্দ করা-সহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। আটক দুই কশাইয়ের বাড়ি উপজেলার গাওপাড়া ও দক্ষিন মিলিক বাঘা এলাকায় বলে জানা গেছে।
বাঘা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্যানেটারি ইন্সেপেক্টর আব্দুল হান্নান জানান, প্রথমিক অবস্থায় আমরা (ফিজিক্যাল) অর্থাৎ শারিরিক টেস্ট করে বুজতে পেরেছি এটি মরা গরু। তিনি উদাহরণ শরুপ-গরুর ফ্যকাশে চোখ , রক্ত বিহীন মাংশের কালার এবং অসংখ্য মাছি বসার বিষয়টি-সহ জনগণের উক্তি স্থানীয় সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
এদিকে ওই মাংশ বাজারে আনার পর শুরুতেই একটি বিয়ে বাড়ির জন্য ২০ কেজি বিক্রী করা হয় বলে সুত্র নিশ্চিত করেন। পরে লোক মারফত খবর দিয়ে সে মাংসের টাকা ফেরত দিতে সহায়তা করেন পুলিশ।
আটক রতন কশাই ও সরোয়ার জানান , আমরা লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া গ্রামের মান্নান কশাই এর কাছ থেকে ৩৫০ টাকা দরে মাংশ কিনে বাঘায় ৪২০ টাকা করে বিক্রী করছিলাম। তবে গরু মরা-কি না সেটা জানা নেই।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহামুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বাঘা বাজারের মাজার গেটের ওই দোকানে হানা দেই। এ সময় অন্যান্য দোকানের তুলনায় মাংসের কালার ও মাছি বসার বিষয়টি ছিল লক্ষনীয়। তিনি জানান ,এই ঘটনার মুল হোতা মান্নান কশাই পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।
Comments
comments