অাতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল: চারদিকে উঁচু- নীচু টিলা। টিলার ওপর সবুজ- শ্যামল চা বাগান। অার হরেক প্রজাতির গাছ- গাছালি । এরই মাঝে একটি লেক। দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এমন মনোলোভা দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। এ লেকটির অবস্হান ভাড়াউড়া চা বাগানে। শ্রীমংগলের ভাড়াউড়া চা- বাগান লেক।
শহর থেকে খুব কাছে এ লেকটির অাকর্ষন কম নয়। যদিও অনেক চা বাগানেই লেক রয়েছে। তথাপি এ লেকটির সৌন্দর্যই অালাদা। উচুঁ- নীচু টিলায় ঘেরা এ লেকটির দুর্বার অাকর্ষনে অনেকেই ছুটে অাসেন। টিলায় টিলায় সবুজ- শ্যামল ঢেউ খেলানো চা- বাগান অাগতদের পুলকিত করে। এমন অপরুপ নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীদের প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
শহর থেকে পাকা সড়কে কলেজ রোড হয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ গেলেই ভাড়াউড়া চা- বাগান। চা- বাগানের ভিতর দিয়ে কাঁচা রাস্তায় অারো প্রায় ২/৩ কিলোমিটার অাকাঁবাকা পথ পাড়ি দিলেই পাওয়া যাবে লেকের দেখা।
কিছুদুর অগ্রসর হলেই লাল মাটির পথ। অার চোখে পড়বে টিলার পর টিলা। টিলায় টিলায় সবুজ চা বাগানের সারি। চা- বাগানের সরু পথ ধরে যেতে যেতে চোখে পড়বে ব্যস্ত চা- কন্যাদের চা পাতা তোলার দৃশ্য যা অাপনাকে পুলকিত করবে।
লেকের কাছাকাছি পৌছলেই একটি টিলা পেরুতে হবে। অবশ্য এ টিলাটি কেটে একটি রাস্তা করা অাছে। এ রাস্তাটি অতিক্রম করলেই টিলার উপরে উঠে যাবেন অাপনি । তখনি দৃশ্যমান হয়ে উঠবে লেকটি। অপরুপ সৌন্দর্যের লেকটির পাড়ে টিলায় দাড়িয়ে চারদিকের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে অাপনার মন- প্রাণ অানন্দে নেচে উঠবে। চারদিকের চা- বাগান সমৃদ্ধ টিলার পর টিলা অার এর নৈসর্গিক অপরুপ সৌন্দর্য অাপনাকে মুগ্ধ করবেই। অার লেকের জলে ফুটে থাকা নানা প্রজাতির ফুল অার রঙ বেরঙের পদ্ম অাপনাকে বিমোহিত করবে। সেই সাথে গাছে গাছে বানর দেখতে পাবেন। বানরের এক গাছ থেকে অারেক গাছে ছুটাছুটি অাপনাকে করবে অানন্দিত।
চা বাগানে সেচের জন্য এই হ্রদ বা টিলাটি তৈরি করা হয়েছিল সেই ব্রিটিশ অামলে। এখানে এখন মাছ চাষও করেন বাগান কর্তৃপক্ষ । চা- বাগান কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অাপনি লেকটি ঘুরে অাসতে পারেন। শহর থেকে মটরবাইক, সিএনজি অটোরিক্সা করে ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে অাপনি পৌছে যেতে পারেন ভাড়াউড়া লেকে।
Comments
comments