অনলাইন ডেস্কঃ দেশের প্রথম বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর আদেশ বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে সিটিসেল করা আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের দিন এই ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শুনানিতে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বলেন, এ পাওনার টাকা খুবই সুনির্দিষ্ট। লাইসেন্স ফি, তরঙ্গ ফি- এগুলো নিয়ে বিরোধের অবকাশ নাই। বিটিআরসি যে ফি নির্ধারণ করেছে, সে অনুসারে অন্য মোবাইল অপারেটররাও টাকা দিয়ে যাচ্ছে।
কেয়া টাকা আদায়ের জন্য গত ১৬ আগস্ট প্রথম ও ২৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফা সিটিসেলকে শোকজ নোটিস দেয় বিটিআরসি। দ্বিতীয় নোটিসে পাওনা পরিশোধের ব্যর্থতায় সিটিসেলের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। পরে ওই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।
২২ আগস্ট ওই রিটের শুনানি নিয়ে বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিটিসেলকে দেওয়া শোকজ নোটিসের সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে বিটিআরসি। এর পর ২৯ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ অপারেটর সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে বিটিআরসির বকেয়া পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করতে সুযোগ দেন।
আদেশে বলা হয়, প্রথম এক মাসের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ এবং পরের কিস্তিতে এক-তৃতীয়াংশ টাকা পরিশোধ করতে হবে। এই টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে সিটিসেল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে। নয়তো বিটিআরসি অন্য যে কোনো আইনি পদক্ষেপ চালিয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪৭৭ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় গত ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।
Comments
comments