আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক সপ্তাহ বাকি। জনমত জরিপে হিলারি কিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যখন ব্যবধান খুবই কম তখন উভয় প্রার্থীই বিজয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাতে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের ইও ক্লেয়ার শহরে তাঁর বক্তব্যে ডেমক্রেট সমর্থকদের মধ্যে যারা ভোট দিয়েছেন তাদেরকে সেই অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনী আইনের সুবিধি নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
তিনি অন্য রাজ্যের ভোটদাতাদের প্রতিও একই আহ্বান জানান। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য পেনসিলিভনায় ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের বলেন তিনি নির্বাচিত হলে কংগ্রেসর বিশেষ অধিবেশন ডেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক ‘এফোরডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ যা ‘ওবামা কেয়ার’ নামেও পরিচিত তা বাতিল করাবেন। ট্রাম্প এই স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচিকে বিপর্যয় বলে বর্ণনা করে নিজের পরিকল্পনা উপস্থাপনের প্রতিশ্র“তি দেন।
গত সপ্তায় এফবিআই এর পরিচালক জেমস কোমি কিনটন পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকার সময়ে যে সব ইমেইল এখন নতুন করে পাওয়া গেছে সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানান। কোমির এই ঘোষণা ট্রাম্পকে নতুন করে উৎসাহ যুগিয়েছে এবং তিনি বলছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব আছে।
এ দিকে হিলারি ক্লিনটন ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের এত কাছাকাছি সময়ে কোমির এই ঘোষণাকে নীতিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার হিলারি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে তার নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নারীদের ব্যাপারে ট্রাম্পের আচরণ ও মন্তব্য হচ্ছে তাঁর কথায় অত্যন্ত নীচ এবং অপমানজনক বলে জানান।
মঙ্গলবার এবিসির একটি জরিপে দেখা যায় হিলারি এগিয়ে অপরদিকে সিএনএনের একটি জরিপে হিলারি এগিয়ে আছেন। মে মাসের পর এবিসি’র জরিপে ১ পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ায় প্রথমবারের মতো হিলারিকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হলেও সিএনএন পরিচালিত জরিপে হিলারির চেয়ে ৫ পয়েন্ট পেছনে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্ট পরিচালিত জরিপে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন যথাক্রমে ৪৫% ও ৪৬%। এদিকে, মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন পরিচালিত জরিপে হিলারির ৪৯% সমর্থনের বিপরীতে ট্রাম্পের সমর্থন ৪৪%।
এছাড়া এবিসি নিউজ ও ওয়াশিংটন পোস্ট পরিচালিত পূর্বের জরিপটিতে মাত্র দুই পয়েন্ট পিছিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। যদিও জাতীয়ভাবে পরিচালিত প্রায় সবগুলো জরিপেই ট্রাম্পের চেয়ে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়েছিলেন হিলারি। এবার সমন্বিত ফলাফলে হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ০.৪ শতাংশ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছেন।
এবিসি’র মতে, নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে এই পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হিলারির ই-মেইল কেলেঙ্কারির ঘটনায় এফবিআইয়ের নতুন করে তদন্ত শুরু করার পর থেকে হিলারির সমর্থন কমেছে বলে মনে করে সংস্থাটি।
তবে এর আগেও ২০১২ সালে বারাক ওবামার চেয়ে মিট রমনি এক পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন এবং ২০০৪-এ ও জন কেরি জর্জ বুশের চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন বলে এবিসি উল্লেখ করে। সূত্র: সিএনএন ও ভয়েস অব আমেরিকা
Comments
comments