অনলাইন ডেস্ক: আবহাওয়া ভবনবঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ঝড়টি মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৮৫ মাইল দূরে আবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহওয়া বিভাগ। এ অবস্থায় মধ্যে উপকূল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঘড় নাডার প্রভাবে সারাদিন খুলনা জুড়ে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া গুমোট আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নিচ্ছে। যা আরো ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার ভোর থেকে খুলনাসহ বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনায় ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, মংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, দিনভর মংলা বন্দর ও আউটার অ্যাংকরে পণ্যবোঝাই জাহাজগুলোতে মাল বোঝাইয়ের কাজ হয়েছে। আর ভারীবৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হলে রাতে বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ রাখা হয়। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘুর্ণিঝড় নাডা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের এসিএফ মোহাম্মদ হোসেন জানান, সন্ধ্যা থেকে ফিসিং ট্রলারগুলো সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এছাড়া সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি ও দুবলার চরের শুঁটকি জেলেদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments
comments