মেহেদী হাসান সোহাগ, মাদারীপুর: মাদারীপুরের বিভিন্ন স্কুলে জেএসসি পরীক্ষায় চলছে নকলের মহা উৎসব। আর নকলের সহায়তা করছে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অনেকেই। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র কারেকশন করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষার দিন চলে নকলের উৎসব। প্রতিটি স্কুলেই পুলিশ পাহারায় গেটে তালা লাগিয়ে চলে এই অনৈতিক কাজ। ম্যাজিষ্টেট, সাংবাদিক বা অন্যকোন উর্ধতন কর্মকতারা কেউ আসলে মোবাইল ফোনে পুলিশ সতর্ক হতে জানিয়ে দিচ্ছে শিক্ষকদের কাছে। এরপরই কেন্দ্র সচিবসহ পরীক্ষা দায়িত্বে থাকা সকলে ছাত্রদের সর্তক করে দিচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কক্ষে দাঁড়িয়ে আছেন শিক্ষক। তার পাশেই বসে নকল দেখে কিংবা পাশের জনেরটা দেখে উত্তর লিখেছেন পরীক্ষার্থীরা। অধিকাংশ কেন্দ্রের বেশিরভাগ কক্ষের চিত্র ছিল এটি। শহরের চরমুগরিয়া মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে চরমুগরিয়া মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এভাবেই দুই স্কুলের শিক্ষকদের সমঝোতার ভিত্তিতেই চলছে শিক্ষার্থীদের কারেকশন করে দেয়ার কাজ। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চরমুগরিয়া মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, স্কুলগুলোতে খুব সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা হচ্ছে। কোন ধরনের অনৈতিক কাজের সুযোগ নেই। এছাড়া মাদারীপুর জেলার প্রায় স্কুলগুলোতে চলছে সমঝোতায় নকল সরবারহ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, পরীক্ষার প্রবেশপত্র নেয়ার সময় নকল করতে দেয়ার জন্য অতিরিক্ত ৩-৫শ’ টাকা করে নেন শিক্ষকরা। তারাই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করেন। প্রশাসন আর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করেই শিক্ষকেরা এ অনৈতিক কাজটি করছেন।
তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউর রহমান বলেন, মাদারীপুরে সুষ্ঠ পরিবেশে পরীক্ষার জন্য একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শণ করছে। নকল কিংবা কোন ধরনের অসদোপায় অবলম্বন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
Comments
comments