অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও গতিশীল নেতৃত্ব যে দেশে রয়েছে সে দেশ এগিয়ে যাবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন ভিশনারী ও ডায়নামিক নেত্রী যেখানে রয়েছে সে দেশ এগিয়ে যাবেই। সে দেশের অগ্রগতি কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অনেকেই আদর্শের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিমত পোষন করতে পারেন। কিন্তু তিনি দেশকে যেভাবে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে পরিচিত করেছেন সে বিষয়ে দ্বিমত পোষন করবেন না।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালী জেলা সমিতির উদ্যোগে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, মামুনুর রশিদ কিরন এমপি,আয়েশা আমীন এমপি, বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন, নোয়াখালী জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শামসুল হক, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যই আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পেরেছি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি না হলে আমার এত দূর আসা সম্ভব হতো না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমার রাজনীতির স্বীকৃতি দিয়ে নোয়াখালীবাসীকে সম্মানিত করেছেন। তবে আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দকে বিব্রত করবেন না’।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জীবনের সাড়ে চার বছর জেলে কাটিয়েছি। পরিবারকে অনেক চেষ্টা করব। অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। কিন্ত কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে এ জেলার উন্নয়নের জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্ঠা করব। কারণ নোয়াখালী আমার জম্মভূমি। তবে আমার কার্যক্ষেত্র সারা বাংলাদেশ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গাকে বঞ্চিত করে নোয়াখালীর উন্নয়ন করবো, সে ধরনের মানসিকতা আমার নেই। এ জেলার কি কি দাবী রয়েছে তা আমি জানি। তার পূরণের সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব। তবে অন্যায়ভাবে কোন কিছু করব না।
সংবর্ধনার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সকলের মত আমিও ফুল ভালোবাসি। আর আমাকে যখন ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় তখন চেয়ে চেয়ে ফুল দেখি। কারণ ফুল দেখলে আমার খুব ভয় করে। তাই কোনটি ভালোবাসার ফুল আর কোনটি স্বার্থের ফুল তা নির্ধারণ করার চেষ্টা করি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকাস্থ নোয়াখালী সাংবাদিক সমিতি, নোয়াখালী জেলার সকল উপজেলা সমিতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।
Comments
comments