অনলাইন ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আগামী ২০১৭ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। ফ্রান্স বাংলাদেশে আরো বিনিযোগ বাড়াতে উদ্যোগ নেবে এবং বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে করবে বলে মন্ত্রী জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি আওবার্ট-এর সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) জহির উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ফ্রান্সের উদ্যোগে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, এজেন্সি ফর ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট (এএফডি)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে অত্যাধুনিক পানি শোধনাগার, তেল শোধনাগার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে ফ্রান্স বাংলাদেশেকে অস্ত্র ছাড়া সকল পণ্যের ওপর ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলেও ফ্রান্স বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ফ্রান্সের সাথে বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে। গত বছর বাংলাদেশ ফ্রান্সে রপ্তানি করেছে ১৮৫২ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফ্রান্স থেকে আমদানি করেছে ২০৩ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। প্রতি বছর ফ্রান্সে বাংলাদেশের বাণিজ্য ২০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাণিজ্য বৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যে দু’দেশের বাণিজ্য ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ফ্রান্সে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, ঔষধ, ফার্নিচার, চামড়াজাত ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসেস সোফি আওবার্ট বলেন, বাংলাদেশ ফ্রান্সের ভালো ব্যবসায়িক অংশীদার। দু’দেশ একত্রে চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে আগামী দিনগুলোতেও দু’দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে ফ্রান্সের বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
Comments
comments