অনলাইন ডেস্ক: হজের পরে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব গাজীপুরের টঙ্গিতে তুরাগ নদীর তীরে ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে। বিশ্ব তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫২তম ধর্মীয় সমাবেশ হিসেবে বিশ্ব ইজতেমার প্রাক্কালে যাবতীয় প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইজতেমা প্রস্তুতি কমিটির মুখপাত্র মাওলানা এম গিয়াস উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ইজতেমা মাঠের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টয়লেট, বাথরুম এবং লাউডস্পিকার বসানোসহ শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে।’ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু হবে এবং ১৫ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। ৪ দিন বিরতির পর ২০ জানুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে এবং শেষ হবে ২২ জানুয়ারি।
ইজতেমার প্রথম পর্বে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, বি-বাড়িয়া, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বরিশাল, নওগাঁ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, যশোর এবং বাগেরহাটের মুসল্লিরা অংশ নেবেন।
এদিকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এম রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাসসকে বলেন, বিভিন্ন রুটে মোট ২২৮টি বাস ইজতেমার যাত্রীদের পরিবহন করবে।
তিনি বলেন, এ ছাড়াও বিআরটিসি’র বিশেষ বাস সার্ভিস ১১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি ইজতেমার যাত্রী পরিবহন করবে। পাশাপাশি জোয়ার শাহাবা বাস ডিপোতে বিআরটিসি প্রধান কার্যালয়ে দুইটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যে কেউ ৯৫৬৪৩৬১ ও ৮৯০০৬৫৫ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করতে পারবেন। ১৯৬৭ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্টিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
Comments
comments