অনলাইন ডেস্কঃ চির নিদ্রায় শায়িত হলেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন। সোমবার বিকেলে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয়। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে এমপি মো. মনজুরুল ইসলাম লিটনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২ জানুয়ারী) বাদ আসর পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
বিকেল ৪টা ৮মিনিটে লিটনের নিজ বাড়ির উঠানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মাস্টারপাড়া-মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. জালাম উদ্দিন।
জানাজায় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামস-উল-আলম হীরু, গাইবান্ধা পৌর মেয়র শাহ জাহাঙ্গীর কবির মিলনসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা সম্পন্ন হয়। রোববার (০১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে হেলিকপ্টারে করে তার লাশ রংপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। লাশ গ্রহণ করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি। এরপর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সারোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী এমপি লিটনের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামে লিটনকে তার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। রাত সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
Comments
comments