অনলাইন ডেস্কঃ শিক্ষাবিদদের সুপারিশের ভিত্তিতে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে পাঠ্যপুস্তক আরও সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করতে দুটি কমিটি করেছে সরকার। এই কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যমান পাঠ্যক্রমের পরিবর্তন ও পরিমার্জনের বিষয়ে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মান বাড়াতে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া, প্রশ্নব্যাংক তৈরি, অপ্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় বাদ দেয়াসহ ১৫ দফা সুপারিশ করেন শিক্ষাবিদরা। এসব সুপারিশের ভিত্তিতে পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা ও নবম-দশম শ্রেণীর কয়েকটি বই পরিমার্জনে কমিটি গঠনের আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ ২০১২ সালে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করে সরকার। এ পাঠ্যক্রম অনুযায়ী ২০১৩ সাল থেকে নতুন বই দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
পাঠ্যক্রম পর্যালোচনা করে বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবই অধিকতর পাঠযোগ্য করতে গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন— বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মনজুর আহমদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, মতিঝিল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক তানজীল আশ্রাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের পরিচালক অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
এ কমিটির সদস্য সচিব এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এবং সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ।
নবম-দশম শ্রেণির নির্বাচিত কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন করে সুখপাঠ্য, আকর্ষণীয় ও সহজ করার লক্ষ্যে আরেক কটিমির সদস্য করা হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ও অধ্যাপক এম এম আকাশ এবং বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
Comments
comments