Download Free BIGtheme.net
Home / ব্রেকিং নিউজ / খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলা স্থগিত

খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলা স্থগিত

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ওই স্থগিতাদেশ দেন। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

আদালত এ মামলার কার্যক্রম স্থগিতে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকার ও দুদককে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারিক আদালতে নাইকো দুর্নীতির মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে। এ অবস্থায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ এর ক ধারার বিধান বলে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

এর আগে সকালে নাইকো মামলার কার্যক্রম বাতিল ও স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদন করেন তার আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন। পরে শেখ আবদুল আউয়ালের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চে তা শুনানি হয়। শুনানি শেষে দুই বিচারপতির বেঞ্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, হাই কোর্ট রুল দিয়েছে, আর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এ মামলায় মওদুদ আহমেদের বিষয়ে রুলের শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, দুদকের মামলা শুনানির জন্য এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত রয়েছে। এই আদালতের সেই এখতিয়ার নেই। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার হলেও আদালত আমাদের আবেদন শোনেননি। এই যুক্তিতে আমরা আগামীকাল আপিল বিভাগে যাব।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন-সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

Comments

comments