অনলাইন ডেস্ক: দুজনের মৃত্যুদণ্ড সহ গাজীপুরের টঙ্গীতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এক সদস্যের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ড দিয়ে রায় দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার (০৮ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পটুয়াখালী সদর উপজেলার সিকেওয়া বুনিয়ার মৃত নাসির হাওলাদারের ছেলে মো. আবুল বাশার হাওলাদার (৩৩) এবং একই উপজেলার তিওকাটার আপ্তের আলী ঘরামী ওরফে আফতাব আলীর ছেলে হারুন ঘরামী ওরফে বাবুল (৪৬)। রায় ঘোষণার সময় আবুল বাশার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামিপক্ষে মো. আসলাম সিকদার মামলা পরিচালনা করেন।
মামলা বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোপলগঞ্জের মুকসুদপুর থানার বাকসাখোলা এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে শেখ ওমর আলী বিজিবি-এর নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি প্রেষণে র্যাব-৪ এ সাভারের নবীনগরের ক্যাম্পে যোগ দেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালে ২০১৪ সালের ৮ নভেম্বর দুপুরে খবর পান টঙ্গীর বড়দেওড়া খাঁপাড়া রোড এলাকার বাসায় তার স্ত্রী সালমা সুলতানা ওরফে সাথী দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন।
পরে কর্মস্থল থেকে তিনি বাসায় গিয়ে তার বাসার পূর্বের ভাড়াটিয়া কুলসুম ও প্রতিবেশী ডাক্তার মিজানের কাছে জানতে পারেন, ঘটনার দিন বেলা পৌণে ১২টার দিকে কুলসুম তার মালামাল নেয়ার জন্য ওই বাসায় যান। পরে মেইন গেইটে নক করার পর ভেতর থেকে গেইট খুলে দুইজন অজ্ঞাত পুরুষ টানা হেঁচড়া করে কুলসুমকে ভেতরে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
এসময় ওই দুই ব্যক্তি দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে কুলসুমের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশি ডাক্তার মিজান ওই বাসার ভেতরে ঢুকে গিয়ে দুই ব্যক্তিকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে বাসায় ঢুকে সালমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে সালমার মৃত্যু হয়।
পরে ওইদিনই সালমার স্বামী শেখ ওমর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে টঙ্গী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি মো. সামসুল হক ওই মামলায় মো. আব্দুল বাশার হাওলাদার, মো. হারুন ঘরামী ওরফে বাবুল, মো. সোনা মিয়া, রাজীব মোল্লা ও পনু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১০জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার আসামি আবুল বাশার ও বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন। অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাসের আদেশ দেন।
Comments
comments