অনলাইন ডেস্ক: পাট ও পাট শিল্পকে অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এক সময় পাট রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হতো। এখনও পাট থেকে অনেক পণ্য তৈরি করা হয়। তাই পাট শিল্পকে আর অবহেলা করা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে পাট দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও পাট মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পাটের শাড়ি পড়ে আসেন। এ সময় তার হাতে পাটের ভ্যানিটি ব্যাগও দেখা যায়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এমাজউদ্দিন প্রামাণিক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের পাটকলগুলো একে একে ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদের বিকাশ ঘটাতে পাট নিয়ে কাজ শুরু করি। কারণ আমরা জানি প্রাকৃতিক নিয়মে জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে পাটের ভূমিকা আছে। ক্ষমতায় এসে খুলনার খালিশপুরসহ অনেক পাটকল আমরা চালু করেছি। তিনি আরও বলেন, আজ প্রায় ৩৫ রকম পণ্য পাট থেকে উৎপাদন হচ্ছে। পাটের শাড়ি না হলে এক সময় মেয়েদের বিয়ে হতো না। পাটের মক কিছু আমাদের কাজে লাগে। এখন আসবাবপত্রও পাট থেকে তৈরি হচ্ছে। তাই পাটকে অবহেলা করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু জাতির পিতা পাটকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তখন পাট রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আসছিল। যদিও তা ব্যবহার হতো পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে। এই বৈষম্যটা জাতির পিতা তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু পাটের প্রতি স্বাধীনতা বিরোধীদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আছে। যার ফলে বিএনপির সময় আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে ২৬ হাজার লোক বেকার হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে পাটের গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেয়। ইতোমধ্যে ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে পাটের জন্ম রহস্য বের করা সম্ভব হয়েছে। অতি গোপনীয়তার সঙ্গে আমরা এ গবেষণা করেছিলাম। জন্ম রহস্য আবিষ্কারের ফলে পাটের উৎপাদন ও এর ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে পাটকল বন্ধ করতে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। ১৯৯৩ সাল থেকে গোল্ডেন হ্যান্ড শেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিদায় দেওয়ার চুক্তিও করে। একই সময় বিশ্বব্যাংক ভারতকে পাটকল চালুর জন্য টাকা দেওয়ার চুক্তি করে। বিএনপির সময় বিশ্বব্যাংকের কথা ফেরেশতার মতো ছিলো। তিনি আরও বলেন, পাট একটি সোনালী আঁশ। যার কপাল পুড়তে শুরু করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পাটই ছিল এক সময় মূল্যবান সম্পদ।
Comments
comments