অনলাইন ডেস্ক: গাড়ি পোড়ানো ও সরকারি কাজে বাধা দিয়ে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও চারটি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) এই চার মামলা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে বুধবার ছয় মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
একই সঙ্গে মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি আ.ন.ম. বশিরুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বিরোধী দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে মিরপুরের দারুসসালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নাশকতার এসব মামলা দায়ের করা হয়। এ সব মামলায় খালেদা জিয়াকে ইন্ধন দাতা হিসেবে উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ অভিযোগ আমলে নেয়। এই অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনের পক্ষে জয়নুল আবেদিন ও এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির শুনানি করেন।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার পর এবার চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলায়ও বিচারক আবু আহমেদ জমাদারেরর প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। তবে তা নাকজ করে দিয়েছেন বিচারক। এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৮ মে দিন দিয়েছেন আদালত। আজ বেলা ১১টার পর এ বিষয়ে আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে শুনানি শুরু হয়।
শুনানির শুরুতে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার আদালতকে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা এরই মধ্যে বিচারক পরিবর্তন করতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। দুটি মামলা একই ধরনের। তাই এ মামলাও পরিবর্তন প্রয়োজন। খালেদা জিয়া আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। তাই চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলা পরিবর্তনের আদেশ দেন। পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শোনেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই মুহূর্তে এ মামলা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। মামলা শুনানি শুরু করা হোক। শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আমি মামলা পরিবর্তনের আদেশ দিতে পারব না। আপনারা উচ্চ আদালত থেকে আদেশ নিয়ে আসেন। এরপরই বিচারক মামলা ১৮ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন। এখন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার শুনানি শুরু হবে।
Comments
comments