অনলাইন ডেস্ক: যেকোনো দিন ঘোষণা হতে পারে পিলখানা হত্যা মামলার রায়। পিলখানা হত্যা মামলায় ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি শওকত আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। আসামির সংখ্যার দিক দিয়ে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য ২০১৫ সালে এই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।
আইনজীবীরা জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৫২ জন আসামির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষ হওয়ার পর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬০ আসামির আপিল শুনানি শেষ হয়। এরপর শেষ হয় বিচারিক আদালতে ৬৯ আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিলের শুনানি। রাষ্ট্রপক্ষ এই ৬৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
পরবর্তীকালে মামলা দুটি স্থানান্তর হয় নিউমার্কেট থানায়। হত্যা মামলায় মোট আসামি ছিল ৮৫০ জন। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
Comments
comments