Download Free BIGtheme.net
Home / জাতীয় / দখিনা বাতাসের কারণেই এবারে গরম বেশী

দখিনা বাতাসের কারণেই এবারে গরম বেশী

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন 

বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে চলা তীব্র দাবদাহ থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে, আর দিন দু’য়েক পরে হয়তো কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে। দেশের মধ্য থেকে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ আগামী শনিবার নাগাদ স্তিমিত হয়ে আসবে এবং এরপর এসব এলাকায় বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা আছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখনও তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে।

তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমটা অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তাসলিমা ইমাম।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালেও ঢাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের হার ছিল ৮৮ শতাংশ।
“এই সময়টাতে সূর্য খাড়াভাবে তাপ দিচ্ছে, আর জলীয় বাষ্প সেই তাপ ধরে রাখছে। একদিকে গরমে প্রচণ্ড ঘাম হচ্ছে এবং সেই ঘাম শুকাচ্ছেও না, ফলে একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি হচ্ছে,” জানালেন তাসলিমা ইমাম।

তিনি বলেন, চলতি বছর এই সময়টাতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি। সাধারণত এ সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৫০ শতাংশের কম থাকলে স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পসহ বাতাস আসছে।

দখিনা বাতাসকে স্বস্তির হিসেবে বিবেচনা করা হলেও তাসলিমা ইমাম বলেন, বেশি বাতাসের কারণেই জলীয় বাষ্প এবং সূর্যের তাপ মিলিয়ে অসহ্য গরমের সৃষ্টি হয়েছে।

দিনের পাশাপাশি রাতেও স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ।
বুধবার বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলায় ৩৭.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম রয়েছে এবং বুধবার সেখানে বৃষ্টিও হয়েছে।

তবে আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তাদের কথায় এটা পরিস্কার যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের হয়তো এই স্বস্তির বৃষ্টির জন্য আরও কয়েকটি দিন অপেক্ষা করা ছাড়া আপাতত আর কোন উপায় নেই।

Comments

comments