অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ১৩২টি মৃতদেহ উদ্ধারের পর আজ বুধবার আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় সন্ধ্যায় স্থগিত করা হয় অভিযান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা সকাল ৮টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
রাঙামাটি শহর ও আশেপাশের এলাকা এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় বিদ্যুতে খুঁটি ও গাছপালা পড়ে আছে। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই রাঙামাটিতে আর বৃষ্টি হয়নি। উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। এখনও বিভিন্ন এলাকায় ১০-১৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
গত কয়েকদিনে প্রবল বর্ষণের কারণে রাঙামাটি শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড় ধসে কমপক্ষে ৯৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, বান্দরবান ও চট্টগ্রামেও পাহাড় ধসের ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩২ জন। সোমবার (১২ জুন) মধ্যরাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাত পর্যন্ত প্রাণহানির এই তথ্য পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নতুন করে কোনও মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধস (ছবি- ফোকাস বাংলা)
পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে। রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজুরুল মান্নান মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, উদ্ধার অভিযান বেগবান করতে বুধবার চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে ৮০ জনের বিশেষ একটি উদ্ধার দলের আসার কথা।
পাহাড় ধসের কারণে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যান চলাচলের জন্য সম্পূর্ণরূপে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী সব জেলার সঙ্গেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাঙামাটিতে। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফিরিয়ে আনা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে রাঙামাটির যোগাযোগ সচল করাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
Comments
comments