শাহিনুর ইসলাম, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের পাটগ্রামের ইসলামপুর, আজিজপুর, রানিয়াডাঙ্গী, বাংলাবাড়ী, চাত্রারপাড় এলাকায় ধরলা ও শিঙ্গিমারী নদী থেকে প্রতিদিন বোমা মেশিন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। কিছু দিন পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও আবার তা শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। পাথর উত্তোলনের কারণে নদীর পারের আবাদি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এলাকার সাধারণ কৃষকদের নানাভাবে ফুসলিয়ে পাথর ব্যবসায়ীরা আবাদি জমি ইজারা নিয়েছেন। অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার অনেক জায়গায় নদীর মাঝে বালুর স্তূপ তৈরি হয়েছে। নদীর পারের বহু জায়গায় ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ২০০১ সাল থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন। বোমা মেশিন দিয়ে মাটির গভীর থেকে কম সময়ে বেশি পরিমাণ বালু ও পাথর উত্তোলন করা যায়।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেছেন, স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেই তারা পাথর উত্তোলন করছেন। পাথরশ্রমিকেরা বলেন, যন্ত্র দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলনের পর আলাদা করা হয়। পাথর গাড়িতে করে অন্যত্র নেয়া হয়, বালু পড়ে থাকে।
এ দিকে শিঙ্গিমারী নদীর ব্রিজের পাশে বড় বড় বালুর স্তূপ হওয়ায় নদীর মূল ধারা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। কৃষককেরা পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে আবাদি জমি ইজারা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নদীর পাশে ৭ বিঘা আবাদি জমি পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে এক বছরের জন্য ইজারা দেয়া হলে সেই জমিতে এখন শুধু বালু আর বালু। তারা কোনো আবাদ করতে পারছেন না। এখন ওইসব জমির মালিকেরা পাথরশ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।
অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলনের কারণে বড় ধরনের ভূমিধস হতে পারে। কেউ বলছেন, ৬৪টি আবার কেউ বলছেন ৬০টি, আবার অন্য একটি সূত্র জানায় ১০টি বোমা মেশিন দিয়ে নদী থেকে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর কুতুবুল আলম বলেন, বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে তারপরও খবর পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments
comments