আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নির্বাচিত হওয়ার পরপরই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক, শিকাগোসহ বড় বড় অন্তত সাতটি শহরে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। এসব সমাবেশ এখনো চলছে। আর এগুলোতে ভিড়ও বাড়ছে ক্রমশ।
নিউইয়র্ক সিটির ইউনিয়ন স্কয়ারে ট্রাম্প বিরোধীদের বিক্ষোভ চলছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা রাস্তা আটকে দিয়েছেন।
টেক্সাসের অস্টিনে মহাসড়ক আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ওয়াশিংটনে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পতাকা পুড়িয়ে দেয়। লস অ্যাঞ্জেলসে সিটি হলের সামনে গতকাল জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে এক বিক্ষোভকারী ‘ঘৃণা জয়ী হতে পারে না’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
শিকাগোর বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা ‘ট্রাম্প আমাদের প্রেসিডেন্ট না’ এই স্লোগানে মুখর করে তুলেছে বিক্ষোভের এলাকা।
নিউইয়র্ক সিটির সমাবেশের বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য ট্রাম্প টাওয়ারের দিতে যাত্রা। সোশ্যালিস্ট অলটারনেটিভ সংগঠনের নিউইয়র্ক শাখা এই বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। বিক্ষোভকারীরা বলছে, ‘জাতিবিদ্বেষ, যৌন বিদ্বেষ এবং মুসলিম বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তোলো।’ বার্কলি, ওকল্যান্ড, সিয়াটল, পিটার্সবার্গসহ বিভিন্ন শহরেও চলছে বিক্ষোভ।
অরেগোনে বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের বিজয়ের পর পরই প্রথম যেসব জায়গায় ক্ষোভ দেখানো হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম সান ফ্রান্সিসকোর বে এলাকা। এই এলাকা ডেমোক্রেটিক পার্টির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধের পাশাপাশি রেল চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করে। সিয়াটলে শতাধিক বিক্ষোভকারী ক্যাপিটল হিলের কাছে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে।
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়া থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন থেকে ওয়াশিংটন স্টেট সব জায়গায় শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।পেনসিলভেনিয়ায় ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গে কয়েকশ শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।
সূত্র: সিএনএন
Comments
comments