অনলাইন ডেস্কঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলে জমি দখল ও দখলমুক্ত করার সরকারি চেষ্টার ফলে যে ঘটনা ঘটেছে, এর পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জড়িত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। মহলটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
আজ সোমবার সকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শিল্পসচিব বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই এলাকার ভূমিহীন সাঁওতালদের সরকারি উদ্যোগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু চিনিকলের জমিতে কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জের সাঁওতাল-অধ্যুষিত মাদারপুর ও জয়পুর গ্রামে জমিতে আখ কাটাকে কেন্দ্র করে সাঁওতালদের সঙ্গে চিনিকলের শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ৬ নভেম্বর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই দিন একজন মারা যান। পরে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয় ধানখেত থেকে এবং একজন বাড়িতে মারা যান। সাঁওতালদের অভিযোগ, শেষের দুজন ওই হামলায় আহত হয়ে মারা গেছেন।
হামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাঁওতাল নেতারা। গতকাল রোববার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের মাদারপুর গির্জার সামনে এক সমাবেশে তাঁরা এই অভিযোগ করেন। সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী ফোরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের দুটি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।
Comments
comments