অনলাইন ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য পতনের প্রেক্ষিতে সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম যুক্তিসঙ্গত করতে তেলের দাম কমানোর পরিকল্পনা করছে। আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই তেলের দাম কমিয়েছি। আমরা মনে করছি আবারো তেলের দাম কমালে তা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হবে।’
মিশন প্রধান ব্রিয়ান ইটকেনের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইএমএফ’র সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জিরি জোনাস, অর্থনীতিক জয়েন্দু দে, আবাসিক প্রতিনিধি স্টিলা কায়েন্দ্র, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডেভিড কেহয়ে ও নির্বাহী পরিচালক সবীর গোকান।
মুহিত বলেন, ‘শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার পর আমরা এ ব্যাপারে একটা ঘোষণা দেব।’ সরকার চলতি বছরের এপ্রিলে বিভিন্ন পেট্রোল পণ্যের দাম লিটার প্রতি তিন থেকে ১০ টাকা কমিয়েছে। প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রোলের দাম কমানো হয়েছে ১০ টাকা করে। তাছাড়া প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হয়েছে ৩ টাকা করে।
মুহিত বলেন, ‘আমরা তেলের দাম আরো কমানোর জন্য একটা সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করছি।’ আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এটা মূলত একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং এ দলটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছে।
পাকিস্তানের ৯.২১ বিলিয়ন রুপি দাবি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, এ ব্যাপারে মন্তব্য করার কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান একটি রাফ দেশ এবং তারা যত সব রাবিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ৪টি ক্রাইটেরিয়ায় পাকিস্তানের কাছে অর্থ দেয়ার দাবি জানাচ্ছে এবং বাংলাদেশের যথাযথ নথিপত্র রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কিন্তু পাকিস্তানের কাছে তাদের দাবির ব্যাপারে কোন নথিপত্র নেই। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছে কিন্তু পাকিস্তান এখনো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে তার অর্থের শেয়ার ফিরিয়ে দেয়নি।
Comments
comments