অনলাইন ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, জ্ঞান, বিজ্ঞান, দক্ষতা ও প্রযুক্তি নিয়ে এদেশের শিশুরা বেড়ে উঠবে। নতুন প্রজন্ম হবে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সুদক্ষ নির্মাতা। আমরা তাদের সেভাবেই গড়ে তুলতে চাই। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যত প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আগামী প্রজন্ম যেন মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকতে পারে সেই লক্ষ্যেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন করে নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতিতে শিক্ষার সুষ্ঠুমান, নৈতিকতা ও শারীরিক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কোন ইস্যুতেই সরকারি দল, বিরোধী দল একমত হয়েছে এমন ইতিহাস নেই। শুধু শিক্ষানীতির ব্যাপারে কোন দল বিরোধিতা করেনি, সবাই সমর্থন করেছে। এটা খুবই শুভ লক্ষণ।’
মন্ত্রী আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ডিআরইউ আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও ওয়াইফাই জোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আমরা কোম্পানীজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ আহামদ, ইনডেক্স গ্রুপের পরিচালক কাইয়ুম নিজামী। অভিবাবকদের পক্ষে কাউসার আহমেদ ও সুরাইয়া মুন্নী এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাইফ ইবনে কামাল সীমান্ত ও তাবাসসুম মোস্তফা অথৈ বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, হাজার বছর ধরে আমাদের দেশের অনেক মানুষ পেট ভরে খেতে পারতো না। কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন পেট ভরে খেতে পারছে, তাদের জীবনমানের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ে পৌঁছাবে তখন হয়তো দারিদ্র থাকবে কিন্তু অতি দারিদ্র থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সহশ্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০১৫ সালের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে সমতা অর্জন করা হচ্ছে টার্গেট। কিন্তু আমরা ৩ বছর আগে ২০১২ সালের মধ্যেই শুধু প্রাথমিক পর্যায়েই নয়, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মেয়েরা এ ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে এখন ৫১ শতাংশ মেয়ে এবং ৪৯ শতাংশ ছেলে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫৩ শতাংশ মেয়ে এবং ৪৭ শতাংশ ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪৫ শতাংশ মেয়ে এবং ৫৫ শতাংশ ছেলেরা পড়াশুনা করছে।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, মেয়ে এবং ছেলেদের জন্য যদি সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায় তাহলে মেয়েরা যেকোন চ্যালেঞ্জিং পেশায় সফলতা অর্জন করতে সক্ষম। এটা জাতির জন্য একটা বড় ধরনের সামাজিক পরিবর্তন। তিনি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি কর্মের হাত যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে অবশ্যই একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগে শতকরা ৫০জন শিশু স্কুলে আসতো, বাকিরা স্কুলেই আসতো না। যারা আসতো তাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ নবম শ্রেণিতে উঠার আগেই ঝড়ে পড়তো। এখন ৯৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিশু স্কুলে আসে। এদের মধ্যে ২/১ শতাংশ হয়তো ঝড়ে পড়ে।
Comments
comments