অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়া গুলশানে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের নামে সড়কের নামকরণ করা হবে। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ আজ শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নামকরণের এ দাবি জানালে মেয়র এ কথা বলেন। এ প্রস্তাবের স্বপক্ষে নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ মেয়রের কার্যালয়ে স্মারকরিপি প্রদান করেন।
এ সময় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুল হুদা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র আনিসুল হক বলেন, বিদেশী নাগরিকদের নামে সড়কের নামকরণের আগে বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অনুমতি প্রদান করলে শিগগির রাজধানীর গুলশানে বিদেশী নাগরিকদের নামে সড়কের নাম রাখা হবে।
তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে যেসব বিদেশী বন্ধুরা আমাদের সহযোগিতা করেন, তারা আজ অনেকে বেঁচে নেই। তারপরও তাদের মর্য়াদার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ। এ সময় একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ মেয়রকে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ভারতে কলকাতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। তারা মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বেশী অবদানের জন্য শ্রীমতি ইন্দ্রিরা গান্ধীর নামে একটি সড়কের নাম রাখার প্রস্তাব করেন।
২০১৬-২০১৭ সালে ভারতে বিশেষ মর্যাদায় শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তারা এ বছরই রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ইন্দ্রিরা গান্ধীর নামে করার প্রস্তাব করেন। ইন্দ্রিরা গান্ধীর নাম ছাড়াও নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ জগজিৎ সিং অরোরা (ভারত), অটল বিহারী বাজপেয়ী (ভারত), পন্ডিত রবিশংকর (ভারত), অন্নদা শংকর রায় (ভারত), লিওনিদ ব্রেজনেভ (রাশিয়া), ফিদেল কাস্ট্রো (কিউবা), জোসেফ টিটো (সাবেক যুগোশ্লাভিয়া) ও জর্জ হ্যারিসনসহ (যুক্তরাষ্ট্র) মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী ৩৩ জন বন্ধুদের নামে সড়কের নামকরণের দাবি জানান।
Comments
comments