অনলাইন ডেস্কঃ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ২ হাজার ৩৬৭ জন গেরিলাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা দেয়ার হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বভাগ।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে এই আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গেরিলা যোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন ও সুব্রত চৌধুরী।
দুই হাজার ৩৬৭ জন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার তালিকা সংবলিত গেজেট বাতিলে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপন গত ৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই রায় স্থগিতের আবেদন নিয়েই চেম্বার আদালতে আসে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৯ অক্টোবর সরকারকে নির্দেশ দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি। ১৯৭১ সালে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা একটি গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্রও সমর্পণ করেছিলেন এই গেরিলারা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্বলিত তালিকার গেজেট প্রকাশ করে।
এতে গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কমরেড মণি সিংহ ও অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নাম ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওই তালিকা-সম্বলিত গেজেটটি বাতিল করা হয়। এই বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ঐ বছরের ১১ ডিসেম্বর রিট আবেদন দায়ের করেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
Comments
comments