অনলাইন ডেস্কঃ রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি বাতিল ও বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যা সমাধানে ৭ দফা দাবিতে ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছেই। সকাল থেকে কয়েকদফা সংঘর্ষে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকি আক্তারসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন। এতে শাহবাগের পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে চায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে তারা শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এরপর হরতাল সমর্থকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং দমাতে ভোর থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পুলিশ। শাহবাগ থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়। দাঙ্গা পুলিশসহ বেশ কয়েকটি জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়।
সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল এসে শাহবাগ অবস্থান নিলে পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর ব্যাপক কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামানও ব্যবহার করতে দেখা যায় পুলিশকে। এসময় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকি আক্তারসহ ৩০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন হরতালকারীরা।
এক পর্যায়ে পিঁছু হটে মিছিলকারীরা পল্টনের দিকে ফিরে যান। পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও ঘিরে রেখেছে। হরতালের সমর্থনে ক্যাম্পাসের মিছিলগুলো আটকে দিচ্ছে পুলিশ।
কয়েকজন বিক্ষোভকারী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে করে আসছিলাম। পুলিশ অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে লাকি আক্তারসহ ৩০ জন আহত হয়।
Comments
comments