অনলাইন ডেস্কঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়িঘরে আগুন লাগানোর জন্য স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এবং ঘটনার সময় দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যকে দায়ী করে দেয়া বিচারিক প্রতিবেদন নিয়ে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। তিনি বলেন, আদালত ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল পক্ষকে এ প্রতিবেদন সরবরাহ করতে হাইকোর্টের পেপারবুক শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন আগামী ০৭ ফেব্রুয়ারি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেদনে কতিপয় পুলিশ সদস্য এ আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দূর থেকে ভিডিও ক্লিপ দেখে পুলিশদের শনাক্ত করা গেলেও তাঁদের নাম জানা যায়নি। ওই পুলিশদের শনাক্তের বিষয়ে ৭ তারিখ আদালত কী আদেশ দেন, সেটাই দেখার বিষয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রদর্শিত ভিডিওক্লিপ পর্যবেক্ষণে দেখা যায় যে, কিছু পুলিশ সদস্য এবং দুই জন সিভিল পোশাকধারী ব্যক্তি সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। আরো কিছু পুলিশ সদস্য কিছুটা দূরে দাড়িয়ে ছিলেন, যারা আগুন লাগানোয় সক্রিয় অংশগ্রহন করেননি। তবে তারা আগুন নেভানোর চেষ্টাও করেননি।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের কোনো সদস্য জড়িত কি-না বা কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রতিবেদন দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়।
রিট আবেদনকারীদের এক সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
Comments
comments