জেলা প্রতিনিধি: শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৪৭ মিনিটে। তবে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
দিনের বেলাতেও সড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। কাছের বস্তুও দেখা দুস্কর। মাঘের শেষ দিকে এসে ফের যেন কুয়াশার চাদরে নিজেকে মুড়ে নিয়েছে রাজশাহী।
কুয়াশার সঙ্গে শীতের প্রকোপও কিছুটা বেড়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনে তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হঠাৎ কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন শহরের ছিন্নমূল মানুষগুলো। তবে শীত তাদের থামিয়ে দিতে পারেনি। সাত-সকালেই কুয়াশা ও শীতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাজের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন এসব দিন আনা, দিন খাওয়া মানুষগুলো।
দুপুর পর্যন্ত সূর্যের তাপ না থাকায় হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পড়ছেন শহরের পথে-ঘাটে থাকা ছিন্নমূল মানুষ। এবার সময়ের আগেই যেন শক্তি হারিয়েছিল শীত। কিন্তু তাপমাত্রা কমায় আবারও বাড়ছে শীতের দাপট।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, মাঘের শেষে এমন কুয়াশা পড়া স্বাভাবিক ঘটনা। এটা শীতের বিদায় বার্তা দিচ্ছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই শীত বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Comments
comments