আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ব্রিটেনের অন্তত ৩০টি গির্জা পরিচালিত স্কুলে মুসলিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে চার্চ অব ইংল্যান্ড পরিচালিত স্কুলে একজনও খ্রিষ্টান নেই, সবাই মুসলিম শিক্ষার্থী। দেশটির এক জরিপে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটেনের দৈনিক ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেন্ট টমাস নামের স্কুলটি ওল্ডহ্যাম শহরের ওয়েরনেথ-এ অবস্থিত। অবশ্য একজন গভর্নর বলছেন এ হিসাব সম্ভবত বেশ কিছুদিনের পুরনো। পরিবর্তিত বাস্তবতার কারণে স্কুলটি এখন খ্রিষ্টান ও মুসলিম উভয় ধর্মের উৎসবগুলোই পালন করে বলে ওই স্কুলের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে।
ওয়েব সাইটে বলা হয়, “আমরা প্রতিদিনই প্রার্থনা দিয়ে স্কুল শুরু করি যাতে আমাদের জীবনে ঈশ্বরের অবস্থানকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। সব ছেলেমেয়েই ধর্মশিক্ষার একটি কোর্স অনুসরণ করে। “
বোল্টন শহরে বিশপ ব্রিজম্যান নামে একটি চার্চ স্কুল রয়েছে যার শিক্ষার্থীদের ৯০ শতাংশই মুসলিম। আর পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের স্টেইনক্লিফ নামের আরেকটি চার্চ স্কুলে ৯৮ শতাংশই মুসলিম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব চার্চ স্কুলগুলোকে এখন ধর্মনিরপেক্ষ বা সেকুলার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উচিত কারণ শিক্ষার্থীরা এখানে এসে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে।
বাকিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যালান স্মাইদার্স বলেন, “চার্চ অব ইংল্যান্ড ঐতিহ্যগতভাবেই স্কুল চালিয়ে আসছে, কিন্তু এখন অনেক চার্চ স্কুল মুসলিম শিক্ষার্থীতে ভরে গেছে এবং এটা এক অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। এসব স্কুলের অল্পসংখ্যক খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়ই খুবই বিভ্রান্তিকর অভিজ্ঞতা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Comments
comments