স্পোর্টস ডেস্ক: এটা এমন একটা দাবি যা বাংলাদেশ সহ ক্রিকেট বিশ্বের অনেক ক্রিকেট গ্রেটরাই বিভিন্ন সময় তুলে ধরেছে। আইসিসির তিন মোড়ল নীতির কোপে পড়ে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে ভীষণভাবে বঞ্চিত। ক্রিকেট মোড়লরা যেখানে একের পর এক টেস্ট ম্যাচ খেলে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের ভাগ্যে কালভদ্রে জুটছে টেস্ট খেলার সুযোগ। হায়দরাবাদে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটিই তার জ্বলন্ত উদাহারণ। এই বিষয়টিই সামনে তুলে ধরলেন প্রতিপক্ষ ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
ওয়ানডেতে একের পর এক সাফল্যের বিপরীতে টেস্টে সাফল্য তেমন নেই বললেই চলে। দেশের মাটিতে একমাত্র ইংল্যান্ডকে হারানো ছাড়া নিকট অতীতে তেমন সাফল্যের গল্প নেই। থাকবে কীভাবে? ভারত অধিনায়ক বললেন, “বাংলাদেশ তো টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগই পায় না। এত কম টেস্ট খেলে কীভাবে ভালো করবে বাংলাদেশ?”
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র ২টি টেস্ট। আর ভারত খেলেছে ১২টি টেস্ট। তার মধ্যে ঘরের মাঠেই ৮টি। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এমনই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে বাংলাদেশ।
কোহলি বললেন, “ওরা ওয়ানডেতে এত ভালো দল হয়ে উঠল কারণ অনেক বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে খেলে ওরা। এতে দলের ভারসাম্য ঠিক করে ফেলা সম্ভব হয়েছে। টেস্টে ভালো করার ক্ষেত্রেও ওদের যোগ্যতা আছে। কিন্তু একটা দল হয়ে গড়ে উঠতে যে পরিমাণ আত্মবিশ্বাস লাগে, সে পরিমাণ ম্যাচই তো ওরা খেলতে পারছে না। আপনি যদি নিয়মিত টেস্ট না খেলেন, আপনার টেস্ট খেলার মানসিকতাই তো তৈরি হবে না। ”
বাংলাদেশ টেস্টে ভালো করছে না বলে তাদের আরও কম টেস্ট ম্যাচ দেওয়া হবে- এমন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন কোহলি। বলেন, “মাঠের বাইরে আপনি যত খুশি অনুশীলন করুন, ম্যাচ খেলাটাই আসল। তাতে সামর্থ্যটা তৈরি হয়। আমি নিশ্চিত ওরা আরও বেশি টেস্ট খেললে টেস্টে দৃঢ় খেলোয়াড় হয়ে উঠবে, দৃঢ় দল হয়ে উঠবে। ওয়ানডেতে ওরা বিশ্বের সব দলকে হারায়। কারণ ওরা জানে এই ক্রিকেটটা কী করে খেলতে হয়। “
Comments
comments