তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: তারের সংযোগ ছাড়াই ব্যাটারি চার্জের প্রযুক্তি এসেছে বছর কয়েক আগেই। বিশেষ করে স্মার্টফোন চার্জের জন্য বিশেষ এক ধরনের ডক রয়েছে যেটির উপর ফোনটি রাখলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিচার্জ হয়।
কিন্তু বড় ধরনের ডিভাইস বা বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ব্যাটারি এভাবে চার্জ করার যুতসই প্রযুক্তি এখনো আসেনি। অবশ্য জার্মানির ভক্সওয়াগেন, নিসান সহ আরো কিছু কোম্পানি এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিক থেকে সবাইকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল জাপানি কোম্পানি আইএইচআই করপোরেশন। ইতিমধ্যে তারা তারহীন চার্জার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ফেলেছে এবং ২০১৯ সালের শুরুর দিকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার ঘোষণা দিয়েছে।
তাদের উদ্ভাবিত কৌশল অনুযায়ী, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি নির্দিষ্ট একটি স্থানে পার্ক করে রাখলেই ব্যাটারি রিচার্জ হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনে সাধারণত ৩০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা ক্ষমতার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। এসব ব্যাটারি সাধারণ চার্জারে রিচার্জ করতে প্রায় ২০ ঘণ্টা সময় লাগে, আর র্যাপিড চার্জারে লাগে ১০ থেকে ১২ মিনিট।
এই দুই ক্ষেত্রেই গাড়িটিকে চার্জারের সাথে তার দিয়ে যুক্ত করতে হয়। তারহীন চার্জিং ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়েছে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স কাপলিং যা উৎস থেকে দূরে থাকা গ্রাহক ডিভাইসে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষ ধরনের একটি চার্জার, যা পার্কিং এলাকায় মেঝেতে রাখা হয়।
এই কৌশলটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওয়াইট্রিসিটি করপোরেশনের সাথে যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছে আইএইচআই। টয়োটাও আছে এর সাথে। তবে এতে ব্যাটারি রিচার্জ হতে সময় লাগে সাধারণ চার্জারের মতো। তারা এই চার্জারগুলো সাধারণত গ্যারেজে ব্যবহার করার কথা বলছেন কারণ এখানে গাড়ি অনেক সময় ধরে পার্ক করে রাখা হয়।
জাপানে ইলেকট্রিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বাড়ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গাড়ি রিচার্জ করার জন্য ২০১২ সালের মে পর্যন্ত সারা দেশে মাত্র ৬ হাজার স্থানে চার্জার বসানো হয়েছিল। ২০১৬ সালের নভেম্বরে সে সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজারে।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে তেলচালিত গাড়ির তুলনায় এগুলো একবার চার্জে খুব বেশি দূর যেতে পারে না। তবে রিচার্জ ব্যবস্থার উন্নতি হলে এই সমস্যা উতরানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Comments
comments