অনলাইন ডেস্ক: বাল্য বিবাহে বাধ্য করতে পরিবারের প্রচেষ্টাকে রুখে দিয়ে পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি তরুণী শারমিন আখতার।বিশ্বসেরা সাহসী নারীর অ্যাওয়ার্ড ‘সেক্রেটারি অব স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অফ কারেজ (আইডব্লিউওসি) ২০১৭’ প্রদান করেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলিনা ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ২০০৭ সাল থেকে শান্তি, বিচার, মানবাধিকার, জেন্ডার এবং নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী ৬০ দেশের শতাধিক নারীকে এই সম্মাননা প্রদান করেছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) বাল্যবিয়ে এবং জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করায় বাংলাদেশের ঝালকাঠির মেয়ে শারমিন আক্তারকে এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নিজ দেশে সাহসিকতার ভূমিকা রাখায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মোট ১৩ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়।
২০১৫ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় মাত্র ১৫ বছর বয়সী শারমিনকে বাবার বয়সী একটা লোকের সাথে তার মা বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু শারমিন সেই বিয়ে আটকে দিয়ে নিজের মায়ের নামে থানায় মামলা করেন। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকে শারমিন।
দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরণের চাপের মুখে থাকা বহু কিশোরীর জন্য তিনি একটি উদাহরণ। মুক্তি এবং ব্যাক্তিগত ক্ষমতায়নের বীজ এখান থেকেই জন্ম নেবে বলে মনে করেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডি বলেন, তাদের প্রত্যেকের জীবনের সাহসিকতার গল্পগুলো অন্যদের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। অন্যদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটার আগে সবাই এসব কথা মনে রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, অংশগ্রহনমূলক বিশ্বের নেতা হিসাবে আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের সবার অবস্থান থেকে সবাইকে শ্রেণী ভুলে সম্মান করেত হবে। মনে রাখতে হবে আমরা সবাই একটি দৌড়ের সদস্য আর সেটা হচ্ছে মানব দৌড়।
উল্লেখ্য, পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৩ জনের মধ্যে ইয়েমেনের মানবাধিকার কর্মী এবং একজন সিরিয়ান রয়েছেন। তবে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে পুরস্কার নিতে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র আসার ভিসা দেয়নি বলে জানিয়েছে দি ওয়াশিংটন পোস্ট।
Comments
comments