Download Free BIGtheme.net
Home / জাতীয় / হাসিনা-মোদীর বৈঠকে ২২ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

হাসিনা-মোদীর বৈঠকে ২২ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২২টি চুক্তি ও ৪টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

শনিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

বৈঠক ও চুক্তি সইয়ের পর আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। তার আগে হিন্দি ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর মোড়ক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা ও মোদি। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী খুলনা কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী নতুন ট্রেন, বিরল রাধিকারপুর পণ্যবাহী ট্রেন এবং ঢাকা-খুলনা-কলকাতা রুটে নতুন বাস সার্ভিস উদ্বোধন করেন।

পরে বল রুমে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। তবে এতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ ছিল না। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে শুরুতে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমার মনে যেই অনুভূতি, আমি মনে করি একই উষ্ণ অনুভূতি রয়েছে পশ্চিম বাংলা সরকারের মমতা ব্যানার্জির মনে।

বিভিন্ন চুক্তি বিষয়ে ধারণা দিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সর্বদাই উষ্ণ। আর সে কারণেই আশা করছি তিস্তা বিষয়ে আমি, মমতা এবং আমাদের সম্মানিত অতিথী শেখ হাসিনা দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। হাসিনা সরকারের আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে।

এ সময় সামরিক সহযোগিতা, সীমান্ত সমস্যা সমাধান এবং অর্থনৈতিক চুক্তি বিষয়ে আলোচনা করেন মোদী। তিনি ঘোষণা দেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আরো দৃঢ় সম্পর্কে গড়ে তুলবে ভারত।

মোদির পর কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ভারতের উপর আস্থা আছে বাংলাদেশের। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতীয় জনগণকে ধন্যবাদও জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বাংলা ভাষায় ভারতীয়দের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।

তিনি বলেন, আমি সবাইকে বাংলা নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পরে বাংলাতেই দু দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে শেখ হাসিনাকে।

গত সাত বছরের মধ্যে এটাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ভারত ভ্রমণ। এর আগে ২০১০ সালে দেশটিতে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে নয়াদিল্লিতে বিমানবাহিনীর পালাম স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারি শিল্প, পাবলিক অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

Comments

comments